নীলফামারী সরকারি কলেজ

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

নীলফামারী সরকারি কলেজটি শহরের পশ্চিমপ্রান্তে ষ্টেডিয়াম সংলগ্ন ২৩.১৫ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এর বর্তমান ভবন সংখ্যা ৬টি। এ ছাড়াও একটি জামে মসজিদ, খেলার মাঠ, ছাত্র, ছাত্রীদের কমনরূম রয়েছে। ১৪টি বিষয়ে অনার্সসহ মোট ১৫টি বিষয়ে পাঠদান করা হয়। বর্তমানে সর্বমোট শিক্ষক সংখ্যা ৭২ জন, কর্মরত কর্মচারীর সংখ্যা ৫১ জন (সরকারি ১১ জন বেসরকারি ৪০ জন) এবং ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা সর্বমোট ১০০০০ জন। প্রতি বছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স বিষয়ে ১৬৯০টি আসনে, ডিগ্রী পাস কোর্স এবং দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে একাদশ শ্রেণীতে ৮০০ টি আসনে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করানো হয়।

প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৫৮ সালের ১৬ মে

ইতিহাস

নীলফামারীর নিবেদিত প্রাণ কতিপয় সর্বজন শ্রদ্ধেয় জনাব মোঃ দবির উদ্দিন আহমদ, এ্যাড. মতিয়ার রহমান চৌধুরী, খয়রাত হোসেন (সাবেক কৃষি মন্ত্রী), উকিল মনছুর মিয়া, আব্দুর রহমান চৌধুরী, চেয়ারম্যান মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ; এঁদের স্বপ্ন, ভালোবাসা আর আমত্মরিক প্রচেষ্টায় তদানীস্তন ইংলিশ হাইস্কুল (বর্তমান নীলফামারী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়) মুসলিম ছাত্রাবাস টিনশেড ভবনের স্বল্প পরিসর আয়তনে (যেখানে বর্তমান নীলফামারী সরকারি মহিলা কলেজ অবস্থিত) ১৯৫৮ সালের ১৬ মে নীলফামারী কলেজ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রথম ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব মাহমুদুল ইসলাম (সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল) এঁর নেতৃত্বে পাঁচ/ছয় জন শিক্ষক এবং ৫৫-৬০ জন্য ছাত্র-ছাত্রী (২ জন ছাত্রী) নিয়ে ১৯৫৮-৫৯ শিক্ষাবর্ষে প্রথম এই কলেজ পথ চলা শুরু করে, যার বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা সর্বমোট ১৪০০০ জন।

ধীরে ধীরে ছাত্র-ছাত্রী বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এবং শিক্ষা পরিকল্পনায় ১৯৬০ সালে প্রথম অবস্থায় ২.৭৮ একর জমির উপর নীলফামারীর হাড়োয়ায় নীলফামারী কলেজকে স্থানারিত করা হয়। যা বর্তমানে স্টেডিয়াম প্রান্ত আর স্টেশন প্রামেত্মর মধ্যবর্তী ২৩.১৫ একর জায়াগা জুড়ে বিসত্মৃত।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে বুকে ধারণ করে যে বিদ্যাপীঠটি একদা হাঁটি হাঁটি পা পা করে যাত্রা শুরম্ন করেছিল, ১৯৭৯ সালের ৭মে ‘নীলফামারী সরকারি কলেজ’ হিসেবে জাতীয়করণ করা হয়।

নীলফামারী জেলার ছয়টি উপজেলা ছাড়াও পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ, দিনাজপুর জেলার খানসামা, রানীরবন্দর, পার্বতীপুর এবং রংপুরের তারাগঞ্জ, পাগলাপীরসহ এতদঞ্চলের শিক্ষা ও জ্ঞানের তীর্থক্ষেত্র হিসেবে নীলফামারী সরকারি কলেজ পরিচিতি লাভ করে।

শিক্ষা বৃত্তির তথ্য

২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণীর ৪৩ জন (৪০%) ছাত্রী উপবৃত্তি পায় এছাড়াও বোর্ড বৃত্তিসহ অন্যান্য বৃত্তি পায়।

অর্জন

২০১৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় ৪২ জন জিপিএ ৫.০০ প্রাপ্ত হয় এবং ২০১২ সালের অনার্স ফাইনাল পরীক্ষায় ৯৩% শিক্ষার্থী উর্ত্তীন হয় এবং ৪২ জন শিক্ষার্থী ১ম শ্রেণী অর্জন করে। এছাড়াও রসায়ন বিভাগের একজন শিক্ষার্থী (জনাব মনিরা জেসমিন) ২০০২ সালের অনার্স পরীক্ষায় ১ম শ্রেণী প্রাপ্ত হয়ে অন্যত্র থেকে মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে অত্র কলেজে প্রভাষক হিসেবে কর্ম রত আছেন।

ভবিষৎ পরিকল্পনা

১। শতভাগ অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়া;
২।প্রতি বিভাগে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের ব্যবস্থাকরন;
৩।ছাত্র-ছাত্রীদের সেবা প্রদানের জন্য প্রশাসনিক কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণে ষ্টুডেন্টস ডেটাবেজ সফ্টওয়ারকে সরাসরি বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার থেকে ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের তথ্য সংগ্রহ করা।